নীতিশ বড়ুয়া, রামু::
রামুতে প্রথম বারের মতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সালেহ আহমদ (৩৫) চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকায় রিক্সা চালাতো। প্রশাসনের কাছে দেয়া তত্বে সালেহ আহমদ জানান, রবিবার (২৬ এপ্রিল) চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ থেকে শসা বহনকারি একটি পিকআপে করে চকরিয়া পর্যন্ত আসেন। তবে পিকআপে আর কেউ ছিলনা। চকরিয়া থেকে মেক্সিতে করে আসেন ঈদগাহ পর্যন্ত। আর ঈদগাহ থেকে টমটমে করে সরাসরি কাউয়ারখোপের গাছুয়া পাড়াস্থ তার বাড়িতে পৌঁছেন। ঈদগাহ থেকে ভাড়াকরা টমটমে তার জিনিসপত্র ছাড়া অন্য কিছু ছিলনা বলেও তিনি জানান। রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সালেহ আহমদের বাড়িতে ৩ ভাই, ৩ ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের ৮ সন্তানসহ মোট ১৪ জন সদস্য রয়েছে। মঙ্গলবার সকলের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হবে।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, সালেহ আহমদ রামুতে আসার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা তার নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠাই। ওই দিন উপজেলা প্রশাসন তার বাড়ি লকডাউন করেন। ২৭ এপ্রিল তার করোনা ভাইরাস সনাক্তের রিপোর্ট পজেটিভ হওয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তাকে রামুর আইসোলেশন ইউনিটে এনে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, রামু আইসোলেশন ইউনিটে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলার আরো ১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা সকলেই মোটামুটি ভাল আছেন।
উল্লেখ্য যে, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে সোমবার (২৭ এপ্রিল) ১২২ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে রামুর সালেহ আহমদসহ ৬ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। আক্রান্ত অন্যান্যদের মধ্যে উখিয়া ২ জন, মহেশখালী ১ জন, চকরিয়া ১ জন ও বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১ জন রোগী রয়েছে। এনিয়ে কক্সবাজারে মোট ২০ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হলো।
পাঠকের মতামত: